bdstall.com

এসি কেনার টিপস এবং বিদ্যুৎ খরচ

গরমে রুমকে ঠাণ্ডা রাখতে অনেকেই এসি ব্যবহার করেন। তবে এসি কেনার আগে কিছু বিষয় চিন্তা করতে হয়। এক্ষেত্রে নিচের তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।

 

এসির ধরনঃ বাজারে প্রায় চার ধরনের এসি পাওয়া যায় – স্প্লিট, উইন্ডো, ক্যাসেট এবং পোর্টেবল। উইন্ডো এসি ঘরের দেয়ালে বড় ছিদ্র করে তার মধ্যে বসাতে হয়। স্প্লিট এসির একটা অংশ ঘরের মধ্যে থাকে আর আরেকটা অংশ থাকে ঘরে বাইরে। ক্যাসেট এসি মূলত ছাদের সাথে যুক্ত করা থাকে যাতে করে এসির অস্তিত্ব বোঝা না যায়। আর পোর্টেবল এসি সহজেই এক রুম থেকে অন্যরুমে বহনযোগ্য।

 

এসির দাম এবং বিবরণ এখানে দেখুন

 

এসির টনঃ

এসির ক্ষেত্রে টন বলতে বুঝায় একটি নিদৃষ্ট পরিমাণ বরফ গলাতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয়। আর তার তাপীয় ইউনিটকে বলে ব্রিটিশ থার্মাল উইনিট (বিটিইউ)। যেমন ১ টন বরফ গলাতে তাপের প্রয়োজন ১২০০ বিটিইউ।

 

ইনাভার্টার এসি এবং নন-ইনাভার্টার এসিঃ

যে সকল এসিতে ভ্যারিয়েবল রোটারি কম্প্রেসার ব্যবহার করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয় সে সকল এসিকে ইনাভার্টার এসি বলে। এই ধরনের এসির সুবিধা হচ্ছে তাপমাত্রা সব সময় সমান থাকে। বার বার কম্প্রেসার চালু করার প্রয়োজন হয় না বিধায় বিদ্যুৎ খরচও ৩০%-৫০% পর্যন্ত কম হয়। ইনভার্টার এসির দাম তুলনামূলক  বেশি হয়।      

 

যে সকল এসিতে ফিক্সড রোটারি কম্প্রেসার ব্যবহার করার ফলে যখন একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় গিয়ে কম্প্রেসর বন্ধ হয়ে যায় এবং তাপমাত্রা বেরে গেলে পুনঃরায় কম্প্রেসর চালু হয় সে সকল এসিকে নন-ইনভার্টার এসি বলে। এই ধরনের এসিতে বিদ্যুৎ খরচের পরমাণ কিছুটা বেশি হয়। তবে নন-ইনভার্টার এসিতে এনার্জি ইফিসিয়েন্ট টেকনোলোজির বিভিন্ন স্টার রেটিং থাকে ফলে স্টার রেটিং বেশি হলে এর বিদ্যুৎ খরচ কম হবে এবং স্টার রেটিং কম হলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে।  নন-ইনভার্টার এসির দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়। নন- ইনভার্টার এসি সাধারণত ৩ ধরনের স্টার রেটিং হয়ে থাকে ২স্টার, ৩স্টার ও ৫ স্টার।

 

আরও জানতে দেখুন এখানে

 

বিদ্যূত খরচঃ

১ টন স্প্লিট নন-ইনভারটার এসির ক্ষেত্রে স্টার রেটিং, বিদ্যুৎ খরচ, মাসিক বিদ্যুৎ বিলের একটি আনুমানিক হিসেব দেওয়া হলোঃ (৫.৩৬ প্রতি ইউনিট ধরে)

 

স্টার রেটিং     পাওয়ার                 ব্যবহার সময়         মাসিক খরচ   

৫ স্টার          ০.৯   kWh            ৮ ঘন্টা                ১২৬১ টাকা

৩ স্টার          ১.০৯ kWh            ৮ ঘন্টা                ১৪০২ টাকা

২ স্টার          ১.১৫ kWh            ৮ ঘন্টা                ১৪৭৯ টাকা

 

কতটুকু স্থানের কত ক্যাপাসিটির এসির প্রয়োজন?

আপনার কত টনের এসির প্রয়জন তার একটি ধারনা দেয়া হল। আর এই নিয়ম মানলে আপনার এসির কম্প্রেসরের উপর কোন লোড পড়বে না।

 

টন                    ঘর (বর্গফুট)

১ টন                 ১০০

১.৫ টন              ১৫০

২ টন                 ২০০

২.৫ টন              ২৫০

                

এছাড়াও এসির অন্যান্য সুবিধা আপনার প্রয়োজন মত দেখে নিতে পারেন যেমনঃ

 

শব্দঃ এসিতে কেমন শব্দ হয় সেটা লক্ষ্য করুন। শব্দ বেশি হলে কাজ করতে কিংবা ঘুমাতে অসুবিধা হবে। স্প্লিট এসি গুলোতে শব্দ অনেক কম হয়।

 

ফ্যান স্পিডঃ ফ্যান বাতাসকে রুমের চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। কাজেই একাধিক ফ্যান স্পিড আছে এমন এসি নির্বাচন করুন।

 

রিভার্স সাইকেলঃ সাধারণত এসি রুমকে ঠাণ্ডা করার কাজে ব্যবহৃত হলেও রিভার্স সাইকেল এসি গরমে রুমকে ঠাণ্ডা করার পাশাপাশি শীতের দিনে রুমকে গরম করতে পারে। তবে এই এসিগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশিই হয়।

 

স্লিপ মোডঃ এসিতে স্লিপ মোড থাকলে কম শব্দ করে এটি রুমের তাপমাত্রাকে একটি আরামদায়ক পর্যায়ে নিয়ে আসে।

 

রিমোট কন্ট্রোলঃ রিমোট কন্ট্রোল থাকলে আপনি সহজেই বিছানা থেকে না নেমে এসিকে সুন্দরভাবেই নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।

 

বিভিন্ন ব্রান্ডের আজকের এসির দাম দেখুন

এই প্রবন্ধটি পোস্ট করা হয়েছে: May 25, 2021
Reviews (0) Write a Review